ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে পালিয়া আসা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সোনিয়া (২৮) নামে এক রোগীকে রাজবাড়ীতে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে পাঠিয়েছে সদর থানা পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের নিজ বাড়ীতে পুলিশ তাকে ঘিরে রাখে।
রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ৪ এপ্রিল (শনিবার) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে করোনাভাইরস সন্দেহ হলে তার শরীরে করোনাভাইরাসের জীবানু ধরা পড়লে পরবর্তীতে তাকে সোহরাওয়াদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে মঙ্গলবার দুপুরে পালিয়ে রাজবাড়ীর দাদশী ইউনিয়নের নিজ বাড়ীতে চলে আসে সোনিয়া। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে ভোর সাড়ে ৩টার দিকে দাদশী ইউনিয়নের সোনিয়া ও তার পরিবারসহ বাড়ীটি ঘিরে রাখে। ভোর ৫টার দিকে রাজবাড়ী সিভিল সার্জন ও রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশ সোনিয়া ও তার স্বামী মালেক সরদারকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
রাজবাড়ী সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, সোনিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। সে ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি ছিলো গতকাল সেখান পালিয়ে দাদশীর নিজ বাড়ীতে চলে আসে। পুলিশ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টা থেকে সোনিয়া ও তার স্বামীর বাড়ী ঘিরে রাখে। পরে পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা সোনিয়া ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করি। আমি উদ্ধর্ত্তন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলছি। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বুধবার দুপুরে রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাঈদুজ্জামান খান বলেন, সোনিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এ তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। সুতরাং আমরা দাদশী ইউনিয়নের সোনিয়ার বাড়ী সহ বেশ কিছু এলাকা লকডাউনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি।