সোহেল রানা ॥
নতুন বছরের শুরুতেই সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতেও বই উৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। উৎসব উদযাপনের প্রহর গুনছে বালিয়াকান্দি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ২৬ হাজার ৩ শত কোমলমতি ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেয়া সরকারের এটি বড় সাফল্য। এরই মধ্যে বালিয়াকান্দি উপজেলার ১ম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের চাহিদা মতে ২৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য সাড়ে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৪শত নতুন বই এসেছে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর। বালিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা অফিসে ফলাফল জমাদানের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর এর পরেই শুরু হবে নতুন বই বিতরণ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধানদের নিকট। উৎসব মুখর পরিবেশে বই বিতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই উপজেলার সরকারী, বেসরকারী, কিন্ডার ও অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মোট ২৩২ টি বিদ্যালয়।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন আহম্মদ বলেন, বর্তমান সরকার সফলভাবে প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের হাতে সম্পূর্ণ বিনামুল্যে বই তুলে দিয়ে সারা বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছে। এর ফলে দেশে শিক্ষার হার বেড়েছে, মানুষ লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। অন্যদিকে নতুন বছরের শুরুতেই এক সাথে নতুন বই হাতে পেলে শিক্ষার্থীরা যেমন খুশি হবে, অন্যদিকে দুশ্চিন্তামুক্ত হয় অভিভাবকরা। এসময় তিনি আরও বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ২০১৮ সালের জন্য প্রায় ২৬ হাজার ৩ শত শিক্ষার্থীদের জন্য বইয়ের চাহিদা ছিল। এরই মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক বাদে প্রথম শ্রেণিতে ৬০০০ সেট, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৫৬০০ সেট, তৃতীয় শ্রেণিতে ৫৩০০ সেট, ৪র্থ শ্রেণিতে ৫ হাজার সেট, ৫ম শ্রেণিতে ৪৮০০ সেট বই আমরা গ্রহণ করেছি। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে চলতি মাসের মধ্যেই প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের থেকে প্রাপ্ত চাহিদা মোতাবেক যাচাই বাছাই করে বই বিতরণ করা হবে। ১লা জানুয়ারী শিক্ষার্থীবরণ ও উৎসব মুখর পরিবেশে বই উৎসব পালন করা হবে। একটি শিক্ষার্থীও যেন বাদ না পড়ে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ থেকে সেদিকে আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা রয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বলছেন, বছরের শুরুতেই বই তুলে দিতে পারায় ঝরে পড়া রোধের পাশাপাশি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ছে।