জমি লীজ রেখে স্বাক্ষর বিহীন সাদা স্ট্যাম্প ও জনতা ব্যাংকের চেক নিয়ে নিজের নামীয় ব্যাংক একাউন্টের চেকে ব্যবসায়ীর নাম লিখে চেক ডিজঅনার করতে গিয়ে জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পরার পর এবার আদালতে আদম ব্যাপারী সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া চরটাকাপোড়া গ্রামের।
নারুয়া ইউনিয়নের চরঘিকমলা গ্রামের মোঃ আলম মন্ডলের ছেলে নারুয়া বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ বাচ্চু মন্ডল বলেন, উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের চরটাকাপোড়া গ্রামের মৃত নজর আলী মন্ডলের ছেলে মোঃ আমিন উদ্দিন মন্ডলের নিকট থেকে এক বছর পুর্বে ব্যবসায়ীক কারণে জমি লীজ দিয়ে দেড় লক্ষ টাকা গ্রহন করি। এসময় জামানত বাবদ ভুলে স্বাক্ষর বিহীন ১শত টাকার ৩টি নন জুডিশিয়াল সাদা স্ট্যাম্প ও জনতা ব্যাংক নারুয়া শাখার ব্যাংক একাউন্টের একটি চেক প্রদান করি। তাকে ৪০ হাজার টাকা ফেরত প্রদান করি এবং চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত দিয়ে টাকা নিতে বলি। তা সত্বেও আমিন উদ্দিন মন্ডল গত ২৫জুলাই জনতা ব্যাংক নারুয়া শাখায় তার নিজের হিসাব নম্বরের এসবি-১০, এফএম ৬৫৬৯৩৪২ নং চেকে ৪ লক্ষ টাকা বসিয়ে চেকের নিচে আমার নাম লিখে ব্যাংকে গিয়ে প্রতারনার বিষয়টি ধরা পড়ে। এনিয়ে নারুয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আঃ গণি শেখসহ অন্যান্যে ব্যবসায়ীরা বসে এক শালিসে আমিন মন্ডলকে বলে সাদা চেকের কপি ও স্ট্যাম্প ফেরত দিয়ে টাকা নিতে। কিন্তু আমিন মন্ডল ফেরত না দিয়ে ব্যাংকে প্রতারনার বিষয়টি ধরা পড়ার পর এলাকার বিভিন্ন লোকজনের দ্বারস্থ হয়। থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দাখিল করে। অবশেষে আমার স্বাক্ষর জাল করে আমি বাড়ী চরঘিকমলা হলেও মরাবিলা উল্লেখ করে তার ছেলে মোঃ সজিব মন্ডলকে মালেয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছি এমন অভিযোগ করে এবং তার আত্বীয়স্বজনদেরকে স্বাক্ষী হিসেবে মেনে গত ২৭ আগষ্ট রাজবাড়ী ১নং আমলী আদালতে মিথ্যা মামলা দাখিল করেছেন। আমার নিকটসহ এলাকার বিভিন্ন ব্যাক্তির নিকট সাদা স্ট্যাম্পের ফটোকপি রয়েছে। আমি বিষয়টি এ জালিয়াত চক্রের জালিয়াতির বিষয়টি তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নারুয়া গ্রামের টিপু সুলতান বলেন, আমিন উদ্দিন মন্ডল জমি লীজের টাকা পাবে বিধায় আমাকেও বলেছিলেন, বাচ্চুকে বলে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য, আমার কাছেও সাদা স্ট্যাম্পের ফটোকপি দেয়। এখন শুনছি তার ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর নামে মামলা করেছে। আমার মতো অনেকের কাছেই গেছে, তবে টাকা নিলেও চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত না দিয়ে নানা ধরনের তালবাহানা করছে।
নারুয়া বাজার বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আঃ গণি শেখ বলেন, আমি ও বাজার সভাপতি মিলে আমিন ও বাচ্চুকে নিয়ে বসেছিলাম। জমি লীজের বাকী ১১ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল, এখন শুনছি আদম ব্যাপারী সাজিয়ে মামলা দায়ের করেছে আমিন।
নারুয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি ও বাজার সেক্রেটারী আঃ গণি শেখ মিলে আমিন ও বাচ্চুকে নিয়ে বসেছিলাম। জমি লীজের বাকী ১১ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল, এখন শুনছি আদম ব্যাপারী সাজিয়ে মামলা দায়ের করেছে আমিন।
এ বিষয়ে আমিন উদ্দিন মন্ডলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।