মেহেদী হাসান ॥
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখার উদ্যোগে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবন্ধিদের মাঝে হুইল চেয়ার ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরন করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে রাজবাড়ী জেলা শহরের বিনোদপুর রাধা গোবিন্দ জিওর মন্দির প্রাঙ্গনে হুইল চেয়ার ও কম্বল বিতরন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি প্রদীপ্ত চক্রবর্তী কান্তর সভাপতিত্বে উদ্বোধক হিসেবে উদ্বোধন ও বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব কুমার দে। অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক স্বপন কুমার দাস, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদিকা ও পুজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ন সাধারন সম্পাদিকা এ্যাডভোকেট উমা সেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলা শাখার সভাপতি অরুন কুমার সরকার, সাধারন সম্পাদক ডাঃ সমীর কুমার দাস, গোয়ালন্দ উপজেলা কমিটির সভাপতি বিপ্লব ঘোষ, বালিয়াকান্দি উপজেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক নীতিশ চন্দ্র দাস প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথি’র বক্তৃতায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব কুমার দে বলেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ দেশের অনেক জেলার চেয়ে রাজবাড়ী জেলার সাংগঠনিক কার্যক্রম অনেক শক্তিশালী। আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে অনেক জেলায় শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল পাঠিয়েছি কিন্তুু রাজবাড়ী জেলায় পাঠাইনি কারন এ জেলায় কাজী ইরাদত আলীর মত একজন দক্ষ ও দানশীল রাজনৈতিক নেতা রয়েছে। তিনি সব সময় আমাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আসছেন।
উদ্বোধক হিসেবে উদ্বোধনী বক্তৃতায় রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করি, নৌকার রাজনীতি করি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে রাজবাড়ীতে ৬৩১ টি ঘর প্রদান করা হয়েছে। মানুষ হিসেবে আমরা কেউ চিরস্থায়ী নই। যতদিন বাচবো মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করবো। মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাবো।
পরে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত দুই শতাধীক শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল ও দুটি হুইল চেয়ার বিতরন করা হয়।