খুলনা জেলার পাইকগাছায় বয়স্ক প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষনের ঘটনায় থানা পুলিশ সবুর সরদার (৬৫) নামে এক ভ্যান চালককে গ্রেপ্তার করেছেন। গত বুধবার ভোর রাতে উপজেলার গদাইপুরে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা নারী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
থানায় মামলার বর্ননা দিয়ে ধর্ষিতার ভগ্নিপতি হিতামপুরের বাসিন্দা মোকছেদ মোড়ল জানান, স্বামী মৃত্যুর পর মানসিক প্রতিবন্ধী শ্যালিকা (ভিকটিম) গদাইপুরে বাপের বাড়ীতে বসবাস করেন। গত ১৭ ফ্রেরুয়ারী রাত ১০ টার পর বাড়ীর বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়ে। ভোর বেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় শ্যামনগর গ্রামের সবুর সরদার নামে এক ভ্যান চালক জোরপুর্বক তাকে ধর্ষন করে চলে যায়। ঘটনার পর অসুস্থ্য এ নারীর রক্তরণ হলে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ রয়েছে ঘটনার পর এলাকার কোন জনপ্রতিনিধি বা দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এগিয়ে আসেনি। খবর পেয়েই থানার ওসি মোঃ এজাজ শফী ঘটনাস্থলে পৌছিয়ে খুলনায় পাঠানোর জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে এম্ব্যুলেন্স ভাড়া সহ ভিকটিমের চিকিৎসার জন্য রক্তের ব্যবস্থা করেন। স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ধর্ষিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতাল কর্তৃপ তাকে খুমেক হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করেন। এর পুর্বে ভিকটিম ও তার পরিবারের তথ্যমতে এসআই অনিষ মন্ডল সবুর সরদারকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে আনেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ভগ্নিপতি মোকছেদ মোড়ল বাদী হয়ে সবুর সরদারের বিরুদ্ধে নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করেছেন, যার নং-১৮।
এদিকে শুক্রবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দীকি ও ওসি এজাজ শফী ভিকটিমের ডিএনএ’র আলামত সংগ্রহ হয়েছে কিনা তা তদারকির জন্য হাসপাতাল পরিদর্শন করে খোজ-খবর নিয়েছেন।
এ বিষয়ে মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (অপারেশন) দিবাশীষ দাশ জানান, শুক্রবার সকালে এ মামলার আসামী সবুর সরদারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের অবস্থা ও চিকিৎসার বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ বিধান চন্দ্র ঘোষ বলেন, চিকিৎসাধীন ভিকটিম এখন সুস্থ্য রয়েছেন। এ ছাড়া তার ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা সহ ঔষধপত্র হাসপাতাল থেকে সরবরাহের কথা জানিয়েছেন।