রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে সমবায় সমিতি। এসকল সমবায় সমিতি নামে মাত্র সমবায় অফিস থেকে রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে উচ্চ হারে সুদের ব্যবসা শুরু করেছে। এসকল সুদে সমিতির খপ্পরে পড়ে অনেকে পথে বসতে শুরু করেছে।
সুদে সমিতির পাশাপাশি সুদে কারবারী, ব্যাংক চেক কারবারী, দাদন ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সাধারন মানুষ অর্থাভাবে সুদে সমিতি ও ব্যাক্তিগত ভাবে ঋন নিতে ব্যাংক চেক বা সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে দিতে হয়। কেউ সুদে কারবারীর চাহিদা মতো অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে চেক ডিজঅনার মামলা অথবা আদম ব্যবসার নামে বিদেশে লোক পাঠানোর নামে প্রতারনার মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়। কিছুদিন হয়রানীর শিকার হয়ে বাড়ীর ভিটে মাটি বিক্রি করে আপোষ-মিমাংসা করতে বাধ্য হয়।
এসকল সুদে কারবারী এতোই শক্তিশালী যে তাদের প্রতিবাদ করার সাহস পায় না অনেকে। তবে সমবায় সমিতির রেজিষ্ট্রেশন ধারী সমিতি গুলো সদস্যদের মধ্যে ঋন প্রদানের বিধান থাকলেও সেটিকে ভুল বুঝিয়ে সুদের ব্যবসা রমরমা ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য উপজেলা সমবায় দপ্তরের নিকট দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ আব্দুল আলীম জানান, সমবায় সমিতির মধ্যে যাদের কার্যক্রম নেই সেগুলোকে তালিকা করে ও সুদে ব্যবসার অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে আছে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।