বিশেষ প্রতিনিধি ॥
“মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভতি মানুষ পেতে পারে না” এমন কালজয়ী গানের কথাকে অম্লান করে রাখতে রাজবাড়ীর দুই শিশু ছেলে সন্তানকে বাঁচানো আকুতি জানিয়েছেন বাবা মঞ্জু মন্ডল (রড মিস্ত্রী)।
বড় ছেলে মাহিম আগুনে পুড়ার পর প্রায় ২ মাস চিকিৎসার পড়ে এখন শুরু হয়েছে পোড়া স্থানের মাংস বৃদ্ধি এবং ছোট ছেলে মুন্নার হার্ট ফুটো ও ফুসফুসে সমস্যা। যার কারণে দুজনকে বাঁচাতেই করতে হবে দ্রুত অপারেশন, আর তাঁতে প্রয়োজন লাখ লাখ টাকা। কিন্তু বসতবাড়ীর অংশিদ্বারিত্ব জমিটুকু ছারা রড মিস্ত্রী মঞ্জু’র নাই কোনো অবলম্বন। সে জমিটুকুও বিক্রির চেষ্টা করছেন। বড় ছেলে চিকিৎসার খরচ চালিয়েছেন লোড ব্যাবসার দোকান বিক্রি ও ধার দেনা করে।
বর্তমানে তিনি রড মিস্ত্রির কাজ করে কোনো সংচার চালাচ্ছেন। তাই ছোট ছোট দুই শিশু সন্তানকে বাঁচাতে জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনসহ দেশ ও সমাজের বৃত্তবানদের সহযোগীতা কামনা করেছেন অসহায় হয়ে পড়া শিশু দুটির পরিবার। বর্তমানে অর্থাভাবে শিশু দুটিকে চিকিৎসা সেবা না দিতে পেরে বাড়ীতেই রেখেছেন ।
শিশু মাহিম ও মুন্না রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর এলাকার মঞ্জু মন্ডলের ছেলে।
বাবা মঞ্জু মন্ডল বলেন, আমার ছোট ছোট দুটি শিশু ছেলে সন্তান, আপনারা ওদেরকে বাঁচান। ওরা ছারা আমার আর কেউ নাই, ওড়াই আমার বেঁচে থাকার অবলম্বন” এই বলে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
মঞ্জু মন্ডল বলেন, তার ছোট ছোট দুটি ছেলে সন্তান, যার দুজনই অসুস্থ। চলতি বছরের মার্চ মাসে বড় ছেলে মাহিম মন্ডল (৪) । একটি বিয়ে অনুষ্ঠানের রান্নার চুলায় পড়ে আগুনে পুড়ে যায়। পড়ে তাকে চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৩ দিন চিকিৎসার দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দুটি অপারেশনে মাধ্যমে টানা ৪৩ দিন চিকিৎসার পর বড় ছেলে মাহিমকে বাড়ীতে নিয়ে আসেন। কিন্তু এ চিকিৎসার জন্য প্রায় তার খরচ হয়েছে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা। যার বেশির ভাগই ধান দেনা করা। কিন্তু বর্তমানে মাহিমের শরীরের পোড়া অংশের মাংস বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে, যার কারণে প্রতি রাতেই চিৎকার চেঁচা মেচি করে। এ অবস্থায় চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানিয়েছেন আবারো অপারেশন করতে হবে।
অসহায়ত্ব বোধ করে তিনি আরো বলেন, এ সমস্যার মধ্যে ধরা পড়েছে ছোট ছেলে মুন্না মন্ডল (২) এর হার্ট ফুটো ও ফুসফুসে সমস্যা। জন্মের সময় মুন্না নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ও অপুষ্টিতে ভুগছিল। সে সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ৭ বার তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকরা তেমন কেনো সমস্যা ধরতে পারেন নাই। হঠাৎ করে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে মুন্নাকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করান। পরীক্ষা নিরিক্ষার পর চিকিৎসক জানিয়েছেন মুন্নার হার্ট ফুটো ও ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে। যার দ্রুত অপারেশন না করালে যে কোনো ধরনের বড় দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
এখন তিনি অসুস্থ দুই ছেলে কিভাবে চিকিৎসা করা সেটচা বুঝে উঠতে পারছেন না। কারণ তাদের চিকিৎসা করানোর মতো কোনো সামর্থ্য নাই তার। ছোট ছোট দুই শিশু ছেলে সন্তানকে বাঁচাতে জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনসহ দেশ ও সমাজের বৃত্তবানদের সহযোগীতা কামনা করেছেন। সাহায্যের জন্য মঞ্জু মন্ডল ডাচ-বাংলা হিসাব নং- ০১৭৫৯ ৫০৮৪৭০-৪।