মাসুদ রেজা শিশির ॥
বিয়ে করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে স্বামীদের সাথে প্রতারনা করাই যে নারীর নেশা, একাধীক বিয়ে করে বিভিন্ন সময় নানা অযুহাতে মোটা আংকের টাকা স্বামীদের নিকট থেকে নিয়ে বেশ কয়েকটি দেশে ভ্রমন করে বেড়িয়েছে ওই একাধীক বিবাহ করা ওই নারী।
শুধু তাই নয় অন্য পুরুষের নাম ব্যবহার করে স্বামী পরিচয় দিয়ে পাসপোর্ট করার অভিযোগও রয়েছে ওই নারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই নারীর কথিত স্বামী রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউপির সুজানগর গ্রামের জনাব আলীর ছেলে মোঃ হাবিব বাদী হয়ে রাজবাড়ীর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। যার মিস পি নং-১০৮৬/১৭।
ওই নারীর একটি পাসপোর্টে দেখা গিয়েছে পাসপোর্ট নং – ইশ০৫৮৩২৯৭ তিনি আমেরিকা প্রবাসীর মোঃ গোলাম আজমের নাম ব্যাবহার করে পাসর্পোট তৈরী করেছেন সেখানে তাকে স্বামী উল্লেখ্য করেছেন। এদিকে গত ১৪/১১/২০১৭ ইং তারিখে আমেরিকা প্রবাসী পাংশা থানায় সাধারণ ডাইরী করেছেন তাতে তিনি উল্লেখ্য করেন মোছাঃ লিপি খাতুন, পিতাঃ সামাদ মন্ডল, গ্রামঃ বিষ্ণুপুর সে আমার নাম ব্যাবহার করে যে পাসপোর্ট তৈরী করেছে সেটা আমার জানা নেই এবং সে আমার স্ত্রী নয় আমাকে ফাঁসাতে এরূপ কর্মকান্ড করেছে বলে আমার ধারনা। পাংশা থানায় সাধারণ ডাইরী নং-৫৩৭ তাং-১৪/১১/২০১৭ইং।
এদিকে বিভিন্ন সুত্রে খোজ নিয়ে জানা গেছে, লিপি খাতুনের প্রথম বিয়ে হয় রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মাছবাড়ী ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামে। এক সড়ক দূঘটনায় তার স্বামী মারা যায়। এর পর থেকেই শুরু হয় বেপড়য়া পথ চলা। স্বামী মারা যাওয়ার কিছু দিনের মধ্যে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউপির পাট্টা গ্রামে একটি বিয়ে করেন লিপি খাতুন। সেখানে তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে, এরপর উপজেলার বাবুপাড়া ইউপির সুজানগর গ্রামের হাবিব এর সাথে ২০১৫ সালে পরিচয় গোপন রেখে কুমারী হিসাবে ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা কাবিনে বিয়ে করেন লিপি। এ বিয়ের তথ্য গোপন রেখে আমেরিকা প্রবাসকে স্বামী হিসাবে দেখিয়ে পাসপোর্ট করেন এ নারী।
এদিকে ওই নারীর স্বামী হাবিব অভিযোগ করেন, আমার নিকট থেকে বিভিন্ন সময় নানা অযুহাতে এবং বিদেশ যাওযার কথা বলে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সে কখনো রুপা, নুরপুর, সুমাইয়া, সিমি ও লিপি নাম ব্যবহার করে থাকেন। তার রয়েছে একাধীক মোবাইল নাম্বার। এক এক সময় সে এক টি নাম্বার ব্যবহার করে বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারনা করাই তার ব্যবসা।
স্থানীয়রা জানান, অল্প শিক্ষিত হলেও তার বেশ ভূসা দেখে বুঝা যায় না। পোশাকে আভিজাতের ছোয়া, বাচন ভঙ্গি ভিন্ন রকম। এদিকে ওই নারীর ৩টি মোবাইল নাম্বারে ফোন করা করা হলে প্রতিটি নাম্বারই বন্ধ পাওয়া যায়।