মাসুদ রেজা শিশির ॥
রাজবাড়ীর কালুখালী-পাংশার সীমান্তবর্তী মৌকুড়ী গ্রামের আকমল হোসেন তিনি পেশায় একজন শ্রমজীবি মানুষ। প্রতিবেশীর সাথে গাছের পাতা কুড়ানোকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হওয়ার পর নারী ও শিশু নির্যাতন অপহরন ও গুমের মামলার শিকার হয়ে আজ পথে বসেছে।
ঘটনাটি ২০১৪ সালে ঘটেছিল। এ ঘটনায় স্থানীয় ভাবে মিমাংশা হওয়ার তিন দিন পর মামলা দায়ের করেন একই গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী নুরজাহান বেগম। ওই মামলায় উল্লেখ্য করা হয় তার মেয়ে হেনাকে নির্যাতন করে গুম করে ফেলেছে আকমল ও তার স্ত্রী ডলি বেগম। মামলায় ১৫দিন হাজত বাস করেছেন আকমলের স্ত্রী ডলি বেগম। পরে আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়েছেন।
এদিকে বিভিন্ন সুত্রে সংবাদ পাওয়া গেছে যাকে কেন্দ্র করে গুমের মামলা দেওয়া হয়েছিল ওই হেনা খাতুন বর্তমানে জর্ডানে রয়েছেন। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। ওই এলাকার একাধীক লোকের সাথে কথা বলে জানাগেছে, ওই মেয়ে বিদেশ আছে আমরা শুনেছি। মামলার বাদীর বাড়ীতে শুভ নামের এক ব্যাক্তি আশ্রিত অবস্থায় আছেন। সে পাংশা বাজারের একটি মুদি দোকানে কাজ করেন। তার সাথে কথা হলে শুভ রাজবাড়ীবিডিকে বলেন, আমার সাথে মাঝে মধ্যে ওই মেয়ের কথা হয়। সে বিদেশ আছে, তবে বেশ কিছুদিন কথা হচ্ছে না। এদিকে মামলার তারিখের প্রায় ৫ মাস পর হেনা তার পিতা সুবাই শেখের নাম ব্যবহার করে পার্সপোট তৈরী করে কাতার যান। যার প্রমান বহন করে পাসপোর্টটি (পাসপোর্ট নং ইঊ০৫০৪৮৪৯) ।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, হেনা গোলাম রাব্বানীর নিজের মেয়ে নয় সে নুরজাহান বেগমকে বিয়ে করার সময় ওই মেয়েটি নুরজাহানের আগের ঘরের। তৎকালীন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুঠো ফোনে এ প্রতিনিধিকে বলেন, এ মামালা তদন্ত করা কালে মেয়েটির মামা পাবনা জেলার সুজানগর থানার বাসিন্দা হালিম শেখ আমাদের নিকট জানিয়েছিলেন আমরা আমাদের ভাগ্নিকে বিদেশ পাঠিয়ে দিয়েছি। ওর পালক পিতা মামলা করেছে তা আমাদের জানাছিল না।
এ ব্যাপারে গোলাম রব্বানীর সাথে কথা হলে হেনা কোথায় আছে জানতে চাইলে সে বলে আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। ওর মামারা বিদেশ পাঠিয়েছেন নাকি এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওদের সাথে আমার কোন সর্ম্পক নেই।
এদিকে ২০১৪ সাল থেকে মামলার ঘানি টেনে আসছেন শ্রমজীবি আকমল হোসেন’র পরিবার। এ মামলার পর ওই আকমলকে পূনরায় ফাঁসাতে ফরিদপুর কোর্টে অন্য একটি মামলা দায়ের করে পরবর্তীতে সে মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছেন।
এ ঘটনায় এলাকাবাসি আকমালের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে গন পিটিশনের মাধ্যমে প্রত্যাহারের দাবী জানান। এদিকে ওই মামলার আসামীদের নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে আকমল হোসেন জানিয়েছেন। আকমল ও তার পরিবার মামলা আতংক ও নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন।