মাসুদ রেজা শিশির ॥
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার শরিসা ইউপির পারডেমনামারা গ্রামের মাছ বিক্রেতা শংকর কিরন চন্দ্র বর্মণ নামের এক সংখ্যালঘুকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে জোর করে শংকরকে তার স্ত্রীর দিয়ে ডির্ভোস দিয়ে তাকে নানা ভাবে হয়রানী করছে বলে ওই শংকর জানান। শংকর বলেন, তার স্ত্রীকে বাগলীবাজারের দোকানদার জিল্লু বিভিন্ন সময় প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় তাকে ডিভোর্স দিয়েছে বলে শংকর জানান।
অপরদিকে শংকরের শশুড় রাম গোপালকে রাতের আধারে কে বা কারা মারধর করে। এ ঘটনার পর থেকে রাম গোপাল এলাকা ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে। নিরাপত্তাহীতায় এলাকায় ফিরতে পারছে না বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে। শনিবার শংকরকে ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শংকরকে পাংশা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে ডেকে আনে। পরে শংকরের নিকট ২০ হাজার টাকা দাবী করে। এ সময় টাকা দিতে অস্বীকার করলে থানা চত্তরেই শংকরকে মারধর করেছে বলে শংকর সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করেন।
শংকর বলেন, আমাকে মারধর করার সময় জিল্লু, ওয়াসিম, পলাশ, তাছের, আমিরুলসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। এদিকে নানা ভাবে শংকরকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছে। শংকর পেশায় একজন মাছ বিক্রেতা।
শংকরকে কেন মারধর করেছেন ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন মনোর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর মুঠোফোনটি বন্ধ করে দেয়।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আজমল আল বাহার বিশ্বাস বলেন আমি বিষয়টি শুনেছি তাদের আইনের আশ্রায় নিতে পরার্মশ দিয়েছি।