৪ ডিসেম্বর ছিল কবি, লেখক ও বিশিষ্ট লালন গবেষক আজাদুর রহমান-এর জন্মদিন। তিনি বর্তমানে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশসক হিসেবে কর্মরত আছেন।
কবি আজাদুর রহমান , জন্ম ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার অধীন গড়ফতেপুর গ্রামের কলেজপাড়ায় । বাবা মরহুম আব্দুল লতিফ আখন্দ এবং মাতা রোজিনা আখতার।
সরকারি চাকরির সাথে সাথে পুরোদমে লেখালেখি করেন তিনি। বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর সাহিত্যপাতায় নিয়মিত গল্প, প্রবন্ধ, ফিচার এবং কলামও লেখেন এই গুণী ব্যাক্তি। সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন ফকির লালনের উপর। চাকরি সূত্রে কুষ্টিয়ায় ছিলেন। সে সময় তিনি লালন একাডেমির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গভীরভাবে পরিচিত হয়েছেন লালনের কির্তীকর্মের সাথে। কাজের খাতিরেই বাউলদের সাথে মেশামিশি। ময়দানের মজমাতে বসে সাধু ফকিরদের সাথে আলাপ পরিচয়, কথোপকথন। দোল পুর্ণিমার মচ্ছবে অবলোকন করেছেন-সাধুসেবা, দীক্ষা গ্রহণের নিয়ম কানুন আর ফকিরি বৃত্তান্ত। তরতাজা জিজ্ঞাসা, সরাসরি আলাপকথন এবং বৈজ্ঞানিক মনমানষিকতার সরেজমিন বিচার বিশ্লেষণ তাঁর নির্মাণ কাজের ধরায়, এনে দেয় অনন্য মাত্রা। সেকারণেই আখড়াবাড়ির বাউলরা স্বশরীরে উঠে আসেন তাঁর লেখায়।
আজাদুর রহমানের প্রকাশিত বইগুলো: ছয়-লালন মত লালন পথ (২০১০, অন্বেষাপ্রকাশনী), সাধুরবাজার, লালনেরগান (অন্বেষা), বাংলার মেঠো পথে (২০১১ জয়তী), কোলকাতা বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে গল্পসমগ্র-অন্য কোনওখানে (২০১৪, সৃষ্টিসুখপ্রকাশনী, কোলকাতা), ব্যাগভর্তি রাতের করতালি (২০১৭-১৮)।