রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলাদীপুরের ব্র্যাক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে লিপি খাতুন (১৯) নামে এক প্রসুতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। লিপি রাজবাড়ীর সদর উপজেলার শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের আহলাদীপুর গ্রামের হোমিও ডাক্তার গোলাম কিবরিয়া রাজিবের স্ত্রী।
সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়ে সিদ্দিক হোমিও হলের মালিক গোলাম কিবরিয়া রাজিব জানান, তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রী লিপি খাতুনকে গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার আলাদীপুরে অবস্থিত ব্র্যাক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এর কিছু সময় পর সেখানে থাকা প্যারামেডিকেল ডাঃ সাবিনা ইয়াসমিন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার (নরমান ডেলিভারী) মাধ্যমে তার একটি কন্যা সন্তান প্রসব করায়।
ওই চিকিৎসক তাদের জানান, সুস্থ্যতার জন্য কমপক্ষে ৫ঘন্টা এ স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে লিপিকে রাখতে হবে। তবে দুই ঘন্টা পরই লিপির অবস্থার অবনতি হয়। তারা লিপিকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাবার জন্য বার বার ওই ডাক্তারকে বলেন। তবে ওই ডাক্তার কোন ভাবেই লিপিকে রেফার্ড করছিলো না। অথচ সে সময়ও প্রচুর পরিমানে রক্তক্ষরন হচ্ছিল লিপির। এক পর্যায়ে লিপি নিস্তেজ হয়ে পড়লে বিকাল পৌনে ৩টার দিকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। ওই সময়ই লিপিকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক লিপিকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
তার দাবী প্যারামেডিকেল ডাঃ সাবিনা ইয়াসমিনের অবহেলায় লিপি মারা গেছে। ডাঃ সাবিনা যদি যথা সময়ে লিপির ছাড়পত্র দিতো তাহলে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল অথবা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে নিয়ে গেলেই প্রাণে বেঁচে যেত।
তিনি আরো বলেন, মাত্র এক বছর আগে লিপিকে তিনি বিয়ে করেছেন। নবজাতক কন্যা তার ভুমিষ্ট হলো ঠিকই তবে চোখের সামনে স্ত্রীকে মারা যেতে দেখলাম। এ ধরণের ক্ষতি যেন আর কারও না হয়। তিনি ডাঃ সাবিনার বিচারও দাবী করেন।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ব্রাদার আব্দুর রব জানান, এ হাসপাতালে লিপি খাতুনকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে নিয়ে আসা হয়। সে সময় জরুরী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাঃ তানজিলা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। তবে নবজাতকটি সুস্থ্য রয়েছে।রাজবাড়ী জেলা ব্র্যাকের প্রতিনিধি নেফাজ উদ্দিন জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে লিপি খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। রাজবাড়ীর আলাদীপুর ব্র্যাক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের প্যারামেডিকেল ডাঃ সাবিনা ইয়াসমিন রোগী লিপি খাতুনকে দুপুর ১২ টার দিকেই রেফার্ড করেছিলো। তবে রোগীর লোকজন তাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে য়ায়নি। তার পরও ঘটনার তদন্ত করা হবে। (সূত্র : রাজবাড়ী বার্তা.কম)