রাজবাড়ী বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের সোনাকান্দর খেয়াঘাটের ইজারাদারের প্রতিনিধির নিকট চাঁদা দাবী ও টাকা নিয়ে পালাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে রবিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন ঘাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি মোঃ নজরুল ইসলাম খান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নারুয়া গ্রামের আকবর আলী মোল্যার ছেলে মোঃ জাহিদ মোল্যা একজন চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। ইতিপুর্বে কয়েকবার থানা পুলিশের হাতে ইয়াবা, গাঁজা ও অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ জাহিদ মোল্যা সোনাকান্দর খেয়াঘাট এলাকায় গাঁজা ও ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে। ইজারাদার নজরুল বিষয়টি টের পেয়ে তাকে সোনাকান্দর খেয়াঘাট এলাকায় অবৈধ ব্যবসা করতে নিষেধ করে। তারপর থেকেই ১লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে আসছিল। নইলে ক্ষতি করার হুমকি প্রদর্শন করে।
বিষয়টি নজরুল তার বড় ভাই আব্দুর রশিদ মোল্যাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদেরকে অবগত করলে জাহিদের মাথা খারাপ হয়েছে বলে প্রকাশ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে সম্প্রতি তার বাড়ীর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় নজরুলকে ইট দিয়ে পিঠে আঘাত করে জখম করে। পুনরায় তার ভাইকে জানালে আপোষ-মিমাংসার আশ্বাস দিয়ে ঘোরাতে থাকে।
গত ৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারুয়া বাজার তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ী ফেরার পথে জাহিদ মোল্যা তাদের বাড়ীর সামনে থেকে লোহার ধারালো দা দিয়ে নজরুলকে কুপিয়ে জখম করার চেষ্টা চালায় এবং দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে জীবনে শেষ করে দিবে বলে হুমকি দেয়।
চিৎকার করে দৌড়ে পালালে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে বিষয়টি জানতে পারে। গত ৭ ডিসেম্বর বিকাল ৪টার দিকে সোনাকান্দর খেয়াঘাটে যায় জাহিদ মোল্যা। এসময় নজরুল পারাপারকারী লোকদের নিকট থেকে টাকা আদায় করছিল। জাহিদ গিয়ে বলে কাল বেঁচে গেছিস। আমার টাকা না দিলে তুই বাঁচতে পারবিনা। এ কথা বলে ক্যাশ বাক্সে হাত থেকে ৫ হাজার ৩শত ২০ টাকা নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
নজরুলসহ ঘাটে থাকা সাবু, জালালসহ ঘাট পারাপারের লোকজন তাকে ধাওয়া করলে দৌড়ে পালানোর সময় গর্তে পা পড়ে মাটিতে পড়ে যায়। লোকজন দেখে পালিয়ে রক্ষা পেতে গড়াই নদীতে ঝাপ দেয়। পরে সে পা ভেঙ্গে গেছে বলে প্রকাশ করলে তাকে লোকজন উদ্ধার করে ভ্যানযোগে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়
বিষয়টি তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।