রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের আলাদীপুর ১নং কলোনীতে ঘুমন্ত অবস্থায় আসমা বেগম (৩৫) ও তার সপ্তম শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়ে বৈশাখী খাতুন (১৫) কে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার চারজনকে আসামী করে রাজবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আসামীরা হলো, একই গ্রামের মৃত মঙ্গল সেখের ছেলে আলাউদ্দিন শেখ, আলাউদ্দিন সেখের ছেলে জাহিদ সেখ, নাছির সেখের স্ত্রী জুলেখা বেগম এবং করিম মিয়ার স্ত্রী খুর্শিদা বেগম।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকা অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু আসমা বেগম বলেন, তার সাথে দীর্ঘ দিন ধরে আসামিদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জের ধরে মাঝে মধ্যেই তাদের কথাকাটাকাটির ঘটনা ঘটতো। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তিনি ও তার স্থানীয় আলাদীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মেয়ে বৈশাখী খাতুন খাওয়া-দাওয়া শেষে বসত ঘরে ঘুমিয়ে পরেন। ওই দিন রাত ১ টার দিকে হঠাৎ গরম অনুভব করে তার মেয়ের ঘুম ভেঙ্গে যায়। মেয়ে দেখে ঘরের চার পাশে দাউ দাউ করে আগুন জ¦লছে।
এ সময় মেয়ের চিৎকারে তারও ঘুম ভেঙ্গে যায়। তারা দু’জনে দ্রুততার সাথে দরোজা খুলে ঘরের বাইরে বের হন। সে সময় তিনি দেখেন আসামিরা দ্রুত সেখান থেকে চলে যাচ্ছে। ঘর থেকে বেড় হবার সময় ঘরে থাকা একটি ছাগল ও তিনি দগ্ধ হন। আগুনের তার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। তাদের চিৎকারে এলাকার বাসিন্দারা এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন।
তিনি দাবী করেন, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই প্রতিপক্ষের লোকজন তার ঘরে আগুন দিয়েছে এবং তাকে ও তার মেয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।
অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু আসমা বেগমের স্বামী আলী হোসেন জানান, অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু আসমা বেগম তার দ্বিতীয় স্ত্রী। ওই দিন রাতে তিনি তার প্রথম স্ত্রী মমতাজ বেগমের সাথে অল্প দুরে অবস্থিত বাড়ীতে ছিলেন। আসমা বেগমের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি আলাউদ্দিন শেখ তার প্রথম স্ত্রী মমতাজ বেগমের বড় ভাই। তবে আসমা বেগমের সাথে আলাউদ্দিন সেখের পরিবারের সদস্যদের জমি-জমা নিয়ে বিরোধের বিষয়টি তিনি স্বীকার করলেও কারা ঘরে আগুন লাগিয়েছে তা তিনি জানাতে পরেননি।
রাজবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, ওই ঘটনায় ইতোমধ্যেই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। (সূত্র : রাজবাড়ীবার্তা.কম)