হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর থেকে ॥
মুগ তুলতে সকালে ক্ষেতে যান ফরিদপুর চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের খালাশী ডাঙ্গী গ্রামের রাধানাত মন্ডল (৬৮)। হঠাৎ করেই তাঁর চোখে পড়ে বিশাল আকৃতির একটি সাপ। তার চিৎকারে আসপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে পাশের গর্তে ঠুকে যায় সাপটি।
পরে এলাকার যুবক পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মেহেদী হাসান (২৬) কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে সাপটিকে জীবিত উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এলাকাবাসী সাপটিকে মারতে চাইলেও তিনি মারতে দেননি। একটি প্লাস্টিকের ড্রামে রেখে দিয়েছেন তিনি। সাপটিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ে গিয়ে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করার দাবি করেন তিনি।
পরে সাপের ছবিটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের মাষ্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র নোমান আল মুক্তাদীরের কাছে পাঠালে তিনি নিশ্চিত করেন এটি চন্দ্রবোড়া। ইংরেজিতে যাকে বলা হয় রাসেল ভাইপার।
বিষয়টি চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সগীর হোসেনকে অবহিত করলে তিনি বলেন “সংশ্লিষ্ট বিভাগকে খোঁজ নিয়ে ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি।”
এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন বন কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দীন প্রথমে সাংবাদিকদের বলেন, সাপটি আপনারা ছেড়ে দেন। পরে তার কাছে জেলা রেঞ্জ অফিসারের মোবাইল নম্বার চাইলে তিনি বলেন “তাঁর নম্বার দিয়ে কী করবেন। তার কী করার আছে। আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সাপটিকে নির্জন এলাকায় অবমুক্ত করে দিতে বলেছেন।”
চরভদ্রাসনের সংবাদকর্মী আব্দুস সবুর কাজল বলেন, সম্প্রতি চরভদ্রাসনে চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়ে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। আতঙ্কিত জনতার হাতে মারা পরেছে কয়েকটি চন্দ্রবোড়া সাপ।
স্থানীয়ভাবে এই সাপ ধরার পর তা অবমুক্ত করার জন্য সংরক্ষিত কোন স্থান নেই। এ অবস্থায় সাপের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে এবং জনতার হাতে উদ্ধার হওয়া জীবন্ত সাপ সংরক্ষিত স্থানে অবমুক্ত করার জন্য বিষয়টি নিয়ে বন ও পশু বিভাগ সময়োচিত পদক্ষেপ নেবে এটিই সকলের কাম্য।