আবির হোসেন আবু, মধুখালী (ফরিদপুর) থেকে ॥
ফরিদপুরের মধুখালীতে চাঞ্চল্যকর জহুর হত্যা কান্ডের সাথে জরিত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাসিঁর দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে এসময় মধুখালী উপজেলার বাজারের সকল দোকানপাট বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীরা যোগদেনমানববনন্ধন বিক্ষোভে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের থানা রোডে স্থানীয় জনসাধারনের আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আব্দুল আলীম মানিকের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন নিহত জহুরের স্ত্রী ঝর্না বেগম, সপ্তম শ্রেনীতে পড়–য়া কন্যা জিনিয়া, ওর্য়াকাস পার্টির পুলিটবুরোর সদস্য মনোজ সাহা, মধুখালী পৌর মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন, পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি হাজী মোহাম্মদ আলী মিয়া, জেলা পরিষদ সদস্য সুরাইয়া সালাম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া, জাতীয় পার্টির সভাপতি মির্জা আলী আহম্মদ, উপজেলা সিপিবি সভাপতি হাজী আব্দুল মালেক শিকদার, পৌর কমিশনার মির্জা আব্বাস, আনিচুর রহমান লিটন, মেহেদী হাসান মন্নু কামরুজ্জামান মিন্টু, মির্জা মাঝহারুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।
উল্লেখ গত ২৬ নভেম্বর বিকালে উপজেলা চর-মহিষাপুর কানাবিলের পশ্চিম পাশে আকবরের কলা বগানের মধ্যে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে পশ্চিম গাড়াখোলা গ্রামের বারিক বিশ্বাসের ছেলে মাংশ ব্যবসায়ী জহুর বিশ্বাসের গলাকেটে হত্যা করা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে মধুখালী থানা পুলিশ। অপর দিকে গত ২৬ নভেম্বর জহুরকে গলা কেটে হত্যা এবং ৫দিন নিখোঁজ থাকার পর গতকাল ১৩ ডিসেম্বর একটি পুকুরে বস্তাবন্দী এক ডিম বিক্রেতা জনির লাশ উদ্ধার হওয়ায় শান্ত মধুখালীকে অশান্ত করায় উদ্দেগ বাড়ছে সাধারন মানুষের মধ্যে।
মধুখালী থানা ইন-চার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, জহুর বিশ্বাস হত্যা কান্ডের মূল আসামী ওহিদসহ ৩ আসামীকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে আনা হয়েছে। অন্যদিকে ডিম বিক্রেতা জনির লাশ ময়না তদন্তের পরে পরিবারকে লাশ বুঝে দেওয়া হয়েছে। ধরনা করা হচ্ছে জনিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ নেই।