স্থানীয়দের জন্য অতি প্রয়োজনীয় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের সাড়ে ২৬ লাখ টাকা ব্যায়ে ব্রীজ নির্মান করা হলেও এর সুফল থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী। একপাশে দেয়াল তুলে ব্রীজের অর্ধেক অংশ আটকে রাখা হয়েছে। এতেকরে ব্রীজটি দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারছে না কোন যানবাহন।
জানা যায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলা ও গোয়ালন্দ উপজেলার সীমান্তে ছোট ভাকলা ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামে ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে ৩৪ ফুট দৈর্ঘ্যরে এ ব্রীজটি ২৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫৫৩ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়। ব্রীজ নির্মাণের পর ব্রীজের এক পাশের অংশে অর্ধেক রাস্তা জুড়ে জমির মালিকানা দাবিদার দেয়াল তুলে দিয়েছে। তার দাবী ব্রীজ তৈরীর সময় কিছু জায়গা ছেড়ে দিয়েছি। আর কোন জায়গা দিতে পারবো না। দেয়াল না ভাঙলে ব্রীজের উপর দিয়ে কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। ফলে বিপুল অংকের টাকা ব্যায় করে নির্মিত ব্রীজটি এলাকাবাসীর কোন কাজেই আসছে না।
বিষ্ণপুর গ্রামের মইন হোসনে (৩৫), শামীম দেওয়ান (৩২)সহ অনেকেই রাজবাড়ীবিডিকে জানান, ব্রীজ হয়েছে কিন্ত এই ব্রীজের কোন সুফল তারা পাচ্ছেন না। এক পাশে দেয়াল থাকার কারণে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ব্রীজটি নির্মাণ হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। এতদিন সংযোগ সড়কও ছিলো না। দুইদিন আগে সংযোগ সড়কে বালু ফেলা হয়েছে। এর আগে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হত। তারা আরো বলেন, যখন ব্রিজ ছিল না তখন ছিল এক রকম। এখন সরকার ব্রীজ নির্মাণ করেছে। সেই ব্রিজ যদি এলাকাবাসীর কাজে না আসে তবে সেটার কি প্রয়োজন ছিল।
জমির মালিকানার দাবিতে দেওয়াল নির্মাণ করা ফজের আলী রাজবাড়ীবিডিকে জানান, আমি যদি জায়গা না দিতাম, তবে ব্রীজ নির্মাণ করার সম্ভব হতো না। আমি জনস্বার্থে নিজে থেকে ৭ ফিট জায়গা দিয়েছি। ওই জায়গার মধ্যে দিয়েই যতটুকু রাস্তা হয়েছে সেখান দিয়েই মানুষকে চলতে হবে। আমি আমার জায়গা রক্ষা করার জন্য দেয়াল তুলেছি।
ছোট ভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে রাজবাড়ীবিডিকে জানান, ব্রীজের এক পাশে জমি’র মালিক দেয়াল তুলে দিয়েছে। আমি জমির মালিককে বলেছি, জমির মূল্য বাবাদ এক লক্ষ টাকা নিয়ে দেওয়াটি ভেঙে জনসাধারণের চলাচলের পথ উন্মুক্ত করে দিতে। কিন্তু তিনি তাতে রাজি হচ্ছেন না।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোঃ আবু সাঈদ মন্ডল জানান, বৃষ্টির মৌসুমে কাজ হওয়ায় ব্রীজের সংযোগ সড়ক করা সম্ভব হয়নি। তাই এখন করা হয়েছে। ব্রিজের এক পাশে দেয়াল কেন প্রশ্ন করলে প্রকল্প কর্মকর্তা বলেন, ব্রিজের কাজ যখন শুরু হয় তখন কোন দেয়াল ছিল না।