দেশের সর্ববৃহত যৌনপল্লী গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় অবস্থিত। সারাদেশ থেকে এখানে প্রতিনিয়ত পাচার হয়ে আসে বিভিন্ন বয়সের নারী ও শিশু। এ পাচার রোধে মঙ্গলবার গোয়ালন্দে মানবপাচার প্রতিরোধ কমিটির ত্রিমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে নারী-শিশুদের পাচার হয়ে আসা বন্ধ করতে বিভিন্ন আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজিজুল হক খান মামুনের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার। সভায় বক্তব্য রাখেন সরকারী গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হালিম তালুকদার, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীন, শিক্ষাবিদ নির্মল কুমার চক্রবর্তী, সেভ দ্যা চিলড্রেন এর কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘কেকেএস’ এর কর্মকর্তা ফকীর আমজাদ হোসেন, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদ রায়হান, সমকাল প্রতিনিধি আজু শিকদার প্রমুখ।
দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর আশপাশের সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষক, এনজিও কমীগণসহ সংশ্লিষ্ট সকলে যার যার অবস্থান থেকে আন্তরিক ভাবে কাজ করলে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে পাচার হয়ে আসা নারী শিশুদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবে বলে সভায় বক্তারা উল্লেখ করেন। এ ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে যৌনপল্লীর ভেতরে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক ও পাচার হয়ে আসা নারীদের দিয়ে উদ্ধার ও পুনর্বাসনের পদক্ষেপ গ্রহনের অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।