রাজবাড়ীর পাংশায় শ্বশুড়বাড়ীতে গুলিতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া গোপাল বিশ্বাস হত্যা মামলায় পুলিশ শ্যালক ও স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নিহত গোপাল বিশ্বাসের শ্যালক বিজন সরকার ও স্ত্রী চায়না সরকার। তাদেরকে রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানাগেছে, গত ৫ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে শরিষার নাওড়াবনগ্রাম (ভূমিহীন) পাড়ায় শশুড় বাড়ীতে অবস্থান করা কালে পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা গ্রামের মৃত বাদল বিশ্বাসের ছেলে গোপাল বিশ্বাসকে গুলি করে। তাকে প্রথমে পাংশা হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার আগে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পাংশা থেকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় হয়। সেখানে থেকে ঢাকা মেকিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের ভাই পরিমল বিশ্বাস বাদী হয়ে পাংশা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী পরিমল বিশ্বাস বলেন, ভাইকে তার শ্যালক বিজন সরকার গুলি করেছে, গুলি করার পর ভাই বোন মিলে সেটার আলামত মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। বিজনের কাছে থাকা অস্ত্র দিয়েই গুলি করে মেরেছে। সঠিক বিচার চাই।
তিনি আরও বলেন, ভাই তার শ্যালক বিজনকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়াতে নিষেধ করার জের ধরে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হলে বিজন ক্ষিপ্ত হয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশে গুলি করে। নিহত গোপাল বিশ্বাসের ১৩ বছর বয়সী একটি ছেলে ও ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।
পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমান বলেন, এ হত্যাকান্ডের ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের মুটিভ উদ্ঘাটন করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বাড়ী থেকে একটি তাজা কার্তুজ ও নিহতের রক্তমাখা জামা কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়।