বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছে, ‘জুলুমবাজ ও লুটেরা সরকার বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না। শ্রীলঙ্কার অবস্থা দেখুন। এমপি মন্ত্রীদের প্যান্ট খুলে নিয়েছে জনগণ। গণতন্ত্র হরণকারী ও জুলুমবাজ সরকারের পরিনতি ওই রকম হবে। তাই বলছি সম্মানের সাথে ক্ষমতা থেকে নামবেন নাকি অসন্মানের সাথে নামবেন সে সিদ্ধান্ত আপনাদের। অন্যায় ও বেআইনভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কারাদন্ড দিয়েছে এ সরকার। দলের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।’
শনিবার বিকালে দেশব্যাপী বিএনপি সহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ী জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির কোন সমাবেশে মাইক বন্ধ করা হয় নাই। কিন্তু রাজবাড়ীর সমাবেশে মাইক বন্ধ করে দেয়া হলো। কারা বন্ধ করলো, এর তদন্ত সাপেক্ষ বিচার হওয়া প্রয়োজন। দেশে এখন গণতন্ত্রের শাসন নাই। এর মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। এখন ঘরের মধ্যে কর্মসূচি করতে বলা হয়। কিন্তু কেন? বর্তমান সরকার যা করছে, তা নির্বাচিত সরকার নাকি সামরিক সরকারের কর্মকান্ড। তিনি আরও বলেন, বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বলছেন দর কসাকসি করে লাভ নাই। আপাদের সাথে কিসের দর কসাকসি। দর কসাকসি হবে একটি বিষয় নিয়ে, সেটি হলো আপনারা কবে কিভাবে ক্ষমতা থেকে নামবেন। অন্তবর্তীকালীন সরকারের রুপরেখা কি হবে। এইটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে, অন্য কিছু না। আমারা নির্বাচনে যাব কি? যাব না, এটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। ভোট বর্জন করবো, নাকি করবো না এটাও গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আপনারা দিনের ভোট রাতে দেবেন কেন? এ সরকার জোর করে ইভিএম ভোট নিতে চায়। কারণ সরকার জানে ইভিএম ছাড়া তাদের উপায় নাই।
সমাবেশে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাডঃ লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাডঃ কামরুল আলম, সাবেক জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশিদ, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান প্রমূখ। সঞ্চালনা করেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম শিকদার পিন্টু। এছাড়া সমাবেশে জেলা ও উপজেলা বিএনপির সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ছিলো চোখে পড়ার মতো।