গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিসি’র লোক সেজে জালিয়াতির মাধ্যমে ফেরির পুরাতন টিকিট বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। এর সাথে জড়িত থাকার দায়ে সোহেল রানা চৌধুরী (২৮) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরীর ছেলে বলে জানা গেছে ।
মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে টিকিট জালিয়াতির এ ঘটনা ঘটে।পুরাতন টিকিটটি আগে থেকেই সোহেল রানা চৌধুরী জোগার করে রেখেছিল।ওই টিকিটের সরকারী মূল্য ১ হাজার ৪৬০ টাকা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট অফিস ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে (২৪ মে) সিরামিক্স পাউডার বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশ্যে নদী পাড়ের জন্য দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আসেন ট্রাকচালক (নং ঢাকা মেট্রো-ট- ১৮-২১৬৯) মো. আনোয়ার হোসেন (৩৫) ও তার সহযোগী (হেলপার) মোঃ সোহেল (১৭)। এ সময় চালক আনোয়ার হোসেন ফেরীর টিকিট কাটার জন্য তার হেলপার সোহেলকে টিকিট কাউন্টারে পাঠান। হেলপার কাউন্টারের কাছে গেলে সেখানে থাকা সোহেল রানা চৌধুরী নিজেকে বিআইডব্লিউটিসি’র লোক পরিচয় দিয়ে ট্রাকে মাল ওভারলোড আছে জানিয়ে টিকিট বাবদ ৬ হাজার টাকা দাবী করে। হেলপার সোহেল রানা চৌধুরীকে ৬ হাজার টাকা দিয়ে ফেরীর একটি টিকিট নেয়। কিন্তু ফেরীতে উঠার আগে টিকিটটিতে নম্বর কাটা ও ওভার লোডের ভাড়া উল্লেখ নেই দেখে চালক আনোয়ারের সন্দেহ হয়। তখন ট্রাক চালক দৌলতদিয়া ৩নং ফেরীঘাটে ডিউটিরত বিআইডব্লিউটিসি’র এক কর্মকর্তাকে টিকিটটি দেখান। ওই কর্মকর্তা উক্ত টিকিট খানা চালক আনোয়ারের ট্রাকের নম্বরে কাটা নয় এবং উক্ত টিকিটের স্কেল নাম্বারও সঠিক নয় বলে জানান। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উক্ত টিকিটখানা পর্যালোচনা করে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন।
ট্রাক চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, আসামী মোঃ সোহেল রানা চৌধুরী নিজেকে বিআইডব্লিউটিসি’র লোক পরিচয় দিয়ে আমার হেলপারের নিকট হতে প্রতারণামূলক ভাবে টিকিট বিক্রি করে ৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমি এ প্রতারককে গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত সোহেল রানা চৌধুরীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে তিনি পলাতক রয়েছেন।