দীর্ঘ দিন ধরে জাল সনদে চাকুরী করেছেন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা জোনা উচ্চ বিদ্যালয়য়ের সহকারী শিক্ষক পপী রাণী বোস। ২০১৭ সালে বিদ্যালয়ে মিনিষ্ট্ররি অডিঢে তার সনদ জাল প্রমানিত হয়। তখন থেকে তার বেতন ভাতা বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটি পূনরায় তার বেতন ভাতা চালু করেছেন।
জানাগেছে ২০১৭ সালের অডিঢের পর ওই শিক্ষিকার এনটিআরসির সনদ জাল প্রমানিত হয়, তৎকালিন সময়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাল সনদের বিষয়ে একটি প্রতিবেদনও দিয়েছিলেন। পপী রানী বোস ২০১১ সালে পাট্টাজোনা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (সমাজ) হিসাবে যোগদান করেন। সম্প্রতি জাল সনদে শিক্ষকতা করছেন এমন একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় ঢাকা বিভাগের তালিকায় পপী রানী বোসের নাম উল্লেখ্য করা হয়েছে। সেখানে তার সিরিয়াল নম্বর ১১৫। যার এমপিও নং-৪১৮৮৮০.০০।
সারা বাংলাদেশে ১১ শত ৫৬ জন শিক্ষক জাল সনদে চাকুরী করছেন বলে জানাগেছে। এরই মধ্যে পরির্দশ ও নিরিক্ষ অধিদপ্তরের (ডিআইএ) এসব জাল সনদধারীদের বেতনের টাকা ফেরত নিতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে সুপারিশ করেছেন।
এ ব্যাপারে পাট্টা জোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সামসুল আলম বলেন, আমি যোগদান করার আগে ওই শিক্ষিকার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার সনদে জটিলতা আছে, অডিটের পর বেতন বন্ধ ছিল। তা কিভাবে পূনরায় দেওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নে প্রধান শিক্ষক বলেন, ৫ জুলাই ২০১০ ইং তারিখে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এক পরিপত্রের আলোকে ও পরিচালনা কমিটির সুপারিশে ওই শিক্ষিকার বেতন দেওয়া হচ্ছে। ২০১০ সালের পর আর কোন পরিপত্র দেয়নি শিক্ষা মন্ত্রনালয় বলে জানান ওই প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনজুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।