রাজবাড়ীর পাংশায় নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ্যদের টাকায় ভাগ বসিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ খোকন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব গোলাপ প্রামনিক। পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
ভুক্তভোগী গোলাপ প্রামনিক বলেন, চেকের টাকা ব্যাংক হইতে উত্তোলন করার পর মেম্বার খোকন বিশ্বাস আমার কাছ থেকে টাকা গুলি গুনে দেবে বলে টাকা নিয়ে নেয়। খোকন বিশ্বাস ৫০ হাজার টাকা গুনার পর আমাকে ৩০ হাজার টাকা দেয় এবং ২০ হাজার টাকা মেম্বার নিয়ে নেয়। ২০ হাজার টাকা চাইলে মেম্বার খোকন বিশ্বাস বলেন, আমি অনেক সময় অনেক জায়গায় এবং অনেক অফিসে যাতায়াত করেছি সেই জন্য ২০ হাজার টাকা নিয়ে নিলাম।
গোলাপ প্রামনিক আরো বলেন, আমি একজন দিন মজুর, অসহায় বৃদ্ধ, আমার সহায় সম্পত্তি যা ছিল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমার কোনো জায়গা-জমি নেই, পরের জায়গায় বসবাস করি। আমি এর বিচার চাই এবং আমার টাকা ফেরত চাই। মেম্বার খোকনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আমি সহ আমার এলাকার আরো কয়েক জনের কাছ থেকে এমন করে টাকা নিয়েছে বলেও তিনি জানান।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোঃ খোকন বিশ্বাস বলেন, এটা মিথ্যা বানোয়াট আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালানো হচ্ছে। বাপ ছেলের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দের জেরে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে আমার প্রতিপক্ষ।
এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আলী বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত ঃ গত ২৩ নভেম্বর উপজেলা প্রশাসন (দূযোগ ব্যবস্থাপনা) অফিসের মাধ্যমে ২০২১-২২ অর্থ বছরে নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার অতিদরিদ্র/দুঃস্থ জন সাধারনের জন্য প্রধানমস্ত্রীর পুর্নবাসন সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে চেক বিতরণ করেন। প্রধান অতিথি হিসাবে ১৪ জন নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাক্তিদের হাতে ৫০ হাজার টাকা করে চেক তুলে দেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপি।