স্টাফ রিপোর্টার ॥
গোয়ালন্দ বাজারের প্রাণকেন্দ্র আড়তপট্টি এলাকা হতে দেশী মদের দোকানটি অপসারনের দবিতে সোমবার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। সমাবেশে বক্তারা মদের দোকানটি দ্রুত অপসারনের দাবি জানান।
গত ৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ফকীর মহিউদ্দিন আনছার ক্লাবের সামনে মদের দোকান সরানোর দাবীতে গোয়ালন্দবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধন হতে মদের দোকানটি সরাতে ৩মাসের আলটিমেটাম দেয়াসহ ৫শতাধিক লোকের স্বাক্ষর সহ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়। ইতিমধ্যে ২ মাস পার হয়েছে। এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য গোয়ালন্দে তৎকালীন ইউএনও হাসান হাবীবকে নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি কোন প্রতিবেদন দেননি। তিনি এ উপজেলা হতে সম্প্রতি বদলী হয়ে গেছেন। তার ভুমিকা নিয়ে স্থানীয় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এদিকে দেশী মদের দোকান স্থানান্তরের উদ্যোগ না নিলে ওই দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার ঘোষনা দিয়েছে এলাকাবাসী। বৈধ দোকান হলেও এখান থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমান মদ অবৈধ ভাবে বিভিন্ন জায়গায় পাচার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এতে মদে সয়লাব হয়ে গেছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মহল্লা। এছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মদের দোকান থাকায় প্রতিনিয়ত ওই এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। সরকারি লাইসেন্সধারী মাদকসেবীদের কাছে মদ বিক্রির কথা থাকলেও উঠতি বয়সের যুবকরা খুব সহজে সংগ্রহ করতে পারছে দেশি মদ। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন মুদি দোকান, সেলুন, এমনকি বাড়ি-ঘরে রেখেও খুচরো ব্যবসায়ীরা এ মদ বিক্রি করছেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় গোয়ালন্দ বাজার আড়তপট্টি এলাকায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আরশাদ মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র শেখ মো. নিজাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মাহ্বুবুর রাব্বানী, অধ্যাপক নুরুজ্জামান ফকীর, অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলার কোমল কুমার সাহা, নাসির উদ্দিন রনি, আলাউদ্দিন মৃধা, আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম খান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইউনুছ মোল্লা, স্থানীয় ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন ফকীর, মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার, আ. জলিল মেম্বার, হোসেন জোয়াদ্দার প্রমুখ।