গোয়ালন্দে বিদেশে ভালো বেতনে চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারনা করে ৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ফজল শেখ (৪৬) রোববার দুই নারীকে আসামী করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় প্রতারনার মামলা দায়ের করেছেন।
আসামীরা হলেন, মানিকগঞ্জ শহরের পশ্চিম দাসরা নগর ভবন রোড এলাকার বাদল খানের স্ত্রী হেনা খান (৫০) ও তার মেয়ে পুলিশ সদস্য মো. আলাউদ্দিনের স্ত্রী জিয়াসমিন লাভলী (৩৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোয়ালন্দ ঘাট থানায় পুলিশ বিভাগে চাকরীর সুবাদে মো. আলাউদ্দিন গোয়ালন্দ শহরে বাসা ভাড়া থাকতেন। তার স্ত্রী লাভলী ও শ^াশুড়ি হেনা খান লেবাননে ভালো বেতনে চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় ফজল শেখ ও তপু নামের দুই যুবকের কাছ থেকে গত বছর ৫ মে ৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নেয়। এর কিছুদিন পর ওই দুই যুবককে লেবাননের দু’টি জাল ভিসা প্রদান করেন তারা। ক্ষতিগ্রস্থ যুবকরা বিষয়টি বুঝতে পারলে তাদেরকে হতাশ না হয়ে অপেক্ষা করতে বলে এবং অল্প সময়ে মধ্যেই আসল ভিসা তাদেরকে দেয়া হবে বলে জানায়। এরমধ্যেই আলাউদ্দিন পুলিশ গোয়ালন্দ শহর থেকে পরিবারকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয় এবং তিনিই টাকার জিম্মাদার হন। এরপর তিনিও বদলী হয়ে অন্যত্র চলে যান। এ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থরা মানিকগঞ্জ শহরে গিয়ে তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে দিচ্ছি-দেব বলে কিছুদিন ঘুরিয়ে এক পর্যায়ে কোন টাকা ফেরত দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
ক্ষতিগ্রস্থ যুবক ফজল শেখ বলেন, ‘টাকা গ্রহনের সময় তারা বলেছিল আমরা তো আর পালিয়ে যাচ্ছি না। কিন্তু ওই দুই প্রতারকের ফাঁদে পড়ে আজ আমরা সর্বশান্ত হয়ে গেছি। তাই আজ তাদের বিরুদ্ধে প্রতারনার মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।’ এই টাকা লেনদেনের একাধিক স্বাক্ষী আছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ এক যুবক রোববার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় দুই নারীকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়া পুলিশ সদস্য মো. আলাউদ্দিন অনেক আগেই এই থানা থেকে বদলী হয়ে গেছে তিনি জানান।