সোহেল রানা ॥
মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে বিখ্যাত এলাকা হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুন জমিতে পিঁয়াজের আবাদ হবে। কৃষকরা শীত উপেক্ষা করে পিয়াজের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।
পিঁয়াজ রোপনকারী কৃষক মানিক, আবু দাউদ, এনামুল হক, ফারুক, আক্কাস আলী জানান, উপজেলার নারুয়া, ইসলামপুর, নবাবপুর, বহরপুর, জামালপুর, বালিয়াকান্দি, জঙ্গল ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের মাঠেই চলছে পিঁয়াজ চারা রোপনের মৌসুম। প্রতিদিন ভোর থেকেই পিঁয়াজের চারা উত্তোলনের পর মাঠে জমিতে রোপন করা হয়। প্রতিজন প্রতি ৩শত ৫০ টাকা থেকে ৪শত টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ বিকাল ৪টা পর্যন্ত পিঁয়াজ রোপনের কাজ করা হয়। তারপর আর কেউ মাঠে থাকে না। ১ কেজি দানার পিঁয়াজ চারা ১৮-২০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জনের দাম বেশি ও পিঁয়াজ চারার দাম বেশি হলেও কৃষকরা জমি খালি না রেখে পিয়াজ চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে। অনেকের পিঁয়াজ রোপন ইতিমধ্যেই শেষ করেছেন। তবে আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যেই এ অঞ্চলে পিঁয়াজ চারা রোপন করা শেষ হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
তারা আরো জানান, গত বছর পিঁয়াজের কাঙ্খিত মুল্য না পেলেও জমি ফেলে না রেখে লোকসান কাটিয়ে উঠতে পিয়াজ লাগানো শুরু করেছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ সাখাওয়াত হোসেন জানান, উপজেলাতে এ বছর সাড়ে ৮হাজার হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও আবহাওয়ার অনুকুল পরিবেশ থাকার কারণে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে পিঁয়াজের চাষ হবে। এ অঞ্চলে তাহেরপুরী, ফরিদপুরী, লালতীর কিং, বারী পিঁয়াজ-১সহ বিভিন্ন জাতের পিঁয়াজের চাষ করা হয়।