রাজবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪নং এলাকা পরিচালক ফিরোজ শেখের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে রাজবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
ভুক্তভোগী মোঃ হিরন হোসেনের দায়েরকৃত অভিযোগসুত্রে জানাগেছে, সে বিগত ১৮ বছর ধরে রাজবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে তালিকাভুক্ত ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে হাউজ ওয়ারিং করে আসছে। বিগত বছরে কোন এলাকা পরিচালক গ্রামে নামিয়া ওয়ারিং এর কাজের ভাগ ইলেকট্রিশিয়ানের কাজের মজুরী থেকে অংশ নেয়নি। কিন্তু রাজবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪নং এলাকা পরিচালক, বালিয়াকান্দির মো: ফিরোজ শেখ ওয়ারিং এর ভাগ কাজের মজুরীর অংশ এমনকি ১ কাপ চা যদি না খাওয়ানো হয় এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। খুঁটি ফেলানোর কথা বলে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা উত্তেলন করে। বালিয়াকান্দি উপজেলার ইন্দুরদী, হাড়িখালি, দেওকোল, বনগ্রাম, চরপাড়া ও অন্যান্য গ্রামগুলোতে বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে কাজের ভাগ নিয়ে ইউনুস ও কুমারেশ নামে লোক দিয়ে কাজ করায়। কাজের ভাগ না দিলে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে।
এ ছাড়াও অপর একটি অভিযোগে বলেন, বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য ৪নং এলাকা পরিচালক ফিরোজ শেখের কাছে বলে। বলার পর সে বলে অফিস থেকে মাপার জন্য লোক নিয়ে আসব কিন্তু ৫ হাজার টাকা দিতে হবে। পরবর্তীতে খুটি গাড়ার সময় ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। এলাকার ৩ জন লোক দায়িত্ব নিয়ে তার কথামত বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য মোট ১৫ হাজার টাকা দেয়। টাকা নিয়ে যাওয়ার পর আর কোন দিন যোগাযোগ করেনি। পরবর্তীতে নিজেরাই অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করে এবং অফিস থেকে লোক এসে মেপে যাওয়ার কিছুদিন পর খুটি আসে। খুটি গাড়ার সময় ৪নং এলাকা পরিচালক ফিরোজ শেখ বাধা দেয়। ওয়ারিং কাজের জন্য যোগাযোগ এবং টাকা না দিলে সমস্যা সৃষ্টি করব এবং বিদ্যুৎ লাইন হতে দিব না। ফিরোজ ওয়ারিং করার কোন লোক না বিধায় তার সাথে যোগাযোগ করে নাই। তাই সে লাইনের প্রথমে একজন গ্রাহক দিয়ে বাধা সৃষ্টি করে এবং দীর্ঘদিন ধরে লাইন বন্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে বাধা দেওয়া ওই গ্রাহককে বুঝিয়ে লাইন নির্মান করা হয়। এখন পর্যন্ত উক্ত লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয় নাই। এমতাবস্থায় ফিরোজ শেখের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করে গ্রাহকরা।