পুরোনো মুদ্রা ব্যবসার মাধ্যমে কোটি টাকা লোভ দেখিয়ে আ. বারেক শেখ বারী (৫৫) নামের এক ব্যাক্তির কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র।
বৃহস্পতিবার প্রতারনার শিকার আ. বারেক শেখ বারী ৫জনকে আসামী করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তিনি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার দক্ষিণ বাড়ি গ্রামের মৃত ইয়াছিন উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় অমিত রায়হান ওরফে এলেক্স (২৫) নামে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। সে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার থানা স্ট্যান্ড সিটি লেন ১/৯ ব্লকের শামীম সরদারের ছেলে।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্র জানায়, পুরোনো মুদ্রা দিয়ে প্রতারনাকারী চক্রের টোপ হয় বালিয়াকান্দির রসুলপুর মাদ্রাসার খাদেম আ. বারেক শেখ। মাস খানেক আগে প্রতারক চক্রের এক সদস্য আ. বারেককে বলেন, ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানীর মুদ্রা পাওয়া গেলে তাতে ইউরেনিয়া নিউক্লিয়াস থাকায় কয়েক কোটি টাকা বিক্রি করা যায়। এ ধরনরে মুদ্রার খোঁজ পেলে তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এর সপ্তাহ খানেক পর প্রতারক চক্রের আরেক সদস্য আ. বারেককে ওই রকম একটি মুদ্রা তার কাছে আছে বলে জানায়। এরপর রাজবাড়ী সদর উপজেলার ধাওয়াপাড়া এলাকায় এক বাড়িতে প্রতারক চক্রের সদস্যরা আ. বারেকের সামনে পুরাতন ওই মুদ্রার মূল্য নির্ধারন করে ৩৫ লক্ষ টাকা। যা পরবর্তীতে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে বলে তাকে প্রলোভন দেখায়। এসময় অমিত রায়হান ২০ লক্ষ টাকা দেবে আর আ. বারেককে ১৫ লক্ষ দিতে বলে। তার কথায় রাজি হয়ে আ. বারেক প্রথমে ৬লাখ ও পরে ৯লাখ টাকা তুলে দেয়া প্রতারক চক্রের হাতে।
গত ৩০ জানুয়ারী পুরাতন ওই মুদ্রা বিক্রির উদ্দেশ্যে বালিয়াকান্দি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তাদের প্রাইভেটকারটি দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছালে প্রতারক চক্রের কাথাবর্তায় আ. বারেক বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এক পর্যায়ে অমিত রায়হান পালানো চেষ্টা করলে তাকে জাপটে ধরে। এসময় পাশের পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত পুলিশ অমিত রায়হানকে আটক করে।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি এজাজ শফী জানান, সারা দেশেই এ ধরনের প্রতারক চক্র সাধারন মানুষকে প্রতারিত করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতারনার বিষয়টি ইতিমধ্যে আটক হওয়া অমিত রায়হান স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।