গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় এই এলাকার জন্য অভিশাপ হিসেবে একটি যৌনপল্লী রয়েছে। সম্প্রতি সেখানে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের খবর শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সেখানে পুলিশী টহল বাড়ানো হয়েছে এবং সেখানে কোন কিশোরকে দেখা গেলে তাদের আটক করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম সরকারী ডিগ্রী কলেজে শিশু অপরাধ, মাদক ও বাল্যবিয়ে বিষয়ক সচেতনতা মূলক কর্মশালায় বক্তব্যকালে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি (পিপিএম/বিপিএম) এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার আগামী দিনের কারিগর তোমরা। তাই সব ধরনের ভুল পথ পরিহার করে যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। স্বাভাবিক ভাবেই শিশু-কিশোরদের মাঝে কিছুটা অপরাধ প্রবণতা কাজ করে। তোমাদের তা পরিহার করতে হবে। তোমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করবে, কিন্তু প্রযুক্তির খারাপ দিকে না ঝুঁকে জ্ঞানার্জনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। ভিনদেশী সংস্কৃতির দিকে তোমরা না ঝুকে বাঙালী সংস্কৃতির চর্চা কর। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতি হচ্ছে বাঙালী সংস্কৃতি।
শতাধিক শিক্ষার্থী কর্মশালায় অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় শিশু আইন ও কিশোর অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া, বাল্য বিয়ে প্রতিকার ও প্রতিরোধ, মাদকের কুফল ও প্রতিকার সম্পর্কে আরো আলোচনা করেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি এজাজ শফী। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপধ্যক্ষ আব্দুল হালিম তালুকদার, শিক্ষক আমিরুল ইসলাম লিন্টু, এনায়েত হোসেন জাকির প্রমুখ। কর্মশালায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে শিশুদের আগামী স্বপ্ন ও শিশু অপরাধ বিষয়ক বিভিন্ন ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম সরকারী ডিগ্রী কলেজ এ কর্মশালার আয়োজন করে।