হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর থেকে ॥
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একজনকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের দরজা পুরুড়া গ্রামে।
অতর্কিত হামলায় নিহত নুর ইসলাম (৩৮) ওই গ্রামের মান্নান মোল্যার ছেলে। এছাড়া নুর ইসলাম নৌকার সমর্থক ছিলো বলে এলাকাবাসী সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে সালথা উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই নুর ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে।
জানা যায়, রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার সময়ে অজ্ঞাত এক মোবাইল ফোনে কল পেয়ে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের নূর ইসলাম ঘর থেকে বেরিয়ে এলে কে-বা কাহারা তাঁর মুখ চেপে ধরে বসত ঘরের কিছু দূরে আঙ্গিনার পুকুরের কাছে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে গিয়ে প্রথমে মুখের ভেতর মাটি ভরে দিয়ে পরে মাথায় আঘাত করে। মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে সে ঘটনাস্থলেই মারা য়ায়। বাড়ির লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘাতক ঐ স্থান ত্যাগ করে পরে পরিবারে পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়।
নিহতের ফুফাতো ভাই ওমর আজাদ জানান, বাড়ীর উত্তর পাশে পুকুরপাড়ে ফজরের আজানের পর বাড়ির লোক নূর ইসলামকে পড়ে থাকতে দেখে শোর চিৎকার করলে এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে পুলিশে খবর দিলে স্থানীয় সালথা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে গত ২ মার্চ রাত অনুমান ১০ টার দিকে নূর ইলামকে বেধড়ক পিটিয়েছিলো একই গ্রামের একদল লোক। সে সময় সে ভোট চাইতেছিলো। সেকারণে মারাত্মক আহত হয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তিও হতে হয়েছিলো। গত ১২ মার্চ চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়িতে আসেন বলেও বাড়ির লোকজন জানান। আরো জানা যায়, সে ১৮ তারিখে অনুষ্ঠিত ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় কেন্দ্রের নৌকা প্রতিকের এজেন্ট ছিলো।
সালথা থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহতের মরদেহ সুরোহাল রিপোর্টের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে এব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।