দৌলতদিয়া ট্রলার ঘাটে জোর করে অবৈধ টোল আদায়ের প্রতিবাদ করায় ৪ ব্যক্তিকে বেদম পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ব্যক্তিদের গোয়ালন্দ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দৌলতদিয়া ১নং ফেরিঘাট সংলগ্ন ট্রলার ঘাটে ঘটনাটি ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন দৌলতদিয়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর দুর্গম চরকুশাহাটা গ্রামের ছোরাপ মন্ডলের ছেলে ইসলাম মন্ডল (৩২), ফয়জাল মিয়ার ছেলে মাসুদ (৩০), আজিজ খার ছেলে নিয়ামত খা (২৭) ও মোকরম মন্ডলের ছেলে সামাদ (৩০)।
আহত নিয়ামত খার বড় ভাই কুশাহাটা গ্রামের বাসিন্দা মো. মাইনদ্দিন খান জানান, বুধবার বিকেলের দিকে আমরা কুশাহাটা যাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রলারে উঠি। ওই ট্রলারে পার হওয়ার জন্য স্থানীয় সাত্তার মেম্বার পাড়ার জাহিদুর মৃধা নামের এক ঘোড়ার গাড়ীর চালক তার গাড়ীটি নিয়ে ওই ট্রলারে ওঠেন। এ সময় আনোয়ার, দেলোয়ার ও জমির নামের স্থানীয় ৩ যুবক ওই ঘোড়ার গাড়ীর চালকের নিকট টাকা দাবী করেন। সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই যুবকরা তাকে লাঞ্চিত করতে থাকে। এতে ট্রলারে থাকা যুবক ইসলাম মন্ডল, মাসুদ, নিয়ামত ও সামাদ প্রতিবাদ করতে এগিয়ে গেলে বখাটে যুবকরা লাঠি-সোটা ও ইটের আধলা দিয়ে তাদেরকে বেদম মারপিট করে। এতে তারা গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়।
ট্রলার চালক আজাদ মাঝি জানান, কুশাহাটা চরে ট্রলারে পারাপারের জন্য আমরা জনপ্রতি ১৫ টাকা ভাড়া নেই। অন্যান্য ক্ষেত্রে সমঝোতার ভিত্তিতে ভাড়া নিয়ে থাকি। এর বাইরে যাত্রীদের এতদিন কাউকে কোন টাকা দিতে হয়নি। কিন্তু ওই যুবকরা জোর করে ঘোড়ার গাড়ীর চালকের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছিল।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ দিলে তদন্তপূূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।