মাসুদ রেজা শিশির ॥
রাজবাড়ী জেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৎকালীন গোয়ালন্দ মহকুমা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপি তার নির্বাচনী আসন রাজবাড়ী-২ (পাংশা-কালুখালী-বালিয়াকান্দি) সমান ভাবে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন।
ইতিমধ্যে পাংশা সরকারী কলেজ, পাংশা জর্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সরকারী করণ, কালুখালী ডিগ্রি কলেজ, রতনদিয়া রজনীকান্ত উচ্চ বিদ্যালয় সরকারী করণ, বালিয়াকান্দি কলেজ ও বালিয়াকান্দি গার্লস হাইস্কুল সরকারী করণ করে ইতি মধ্যেই ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। একই সাথে পাংশা বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলা এলাকার স্কুল কলেজ মাদ্রাসারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাটামো উন্নয়ন, রাস্তা, বীজ্র কালভার্ট নির্মান করে গ্রামঞ্চলের জনসাধারনের মন জয় করেছে তিন বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপি।
এছাড়াও প্রায় শতভাগ এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎতায়ন করে উন্নয়নের চরম শিখরে পৌছে দিয়েছে, পাল্টে গিয়েছে গ্রামঞ্চলের মানুষদের জীবন যাত্রার মান। জেলা আ.লীগের দীর্ঘ দিনের সভাপতি জিল্লুল হাকিম দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে একই সাথে নির্বাচনী এলাকার ৩টি উপজেলার নেতা কর্মীদের সমন্নয়ে দল পরিচালনা করে বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন টি উপজেলা ও ১টি পৌর সভায় দলীয় প্রার্থীকে বিজয় অর্জন করায় তার নেতৃত্বের বলিষ্ঠ অবস্থান সু দৃঢ় করেন তিনি। একই ভাবে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩টি উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী ছাড়া জয়লাভ করেছেন মাত্র ২জন তারা সতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।
উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে রাজবাড়ী জেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপিকে পুরনায় এ আসনে এমপি হিসাবে দেখতে চাই তার নির্বাচনী এলাকার আ.লীগ,অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীসহ আওয়ামী মনোভাবাপন্ন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচলন রয়েছে জিল্লুল হাকিম এমপি থাকলে এ অঞ্চলের উন্নয়ন হয়।
জিল্লুল হাকিমের বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবন
ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে শুরু করেন তার রাজনৈতিক জীবন। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এই নেতা ১৯৯৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, এরপর ২০০৮ সালে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয় সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে বিনা প্রতিদন্দ্বীতায় সংসদ নির্বাচিত হয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলছেন এই বরেন্য রাজনিতিবিদ। এদিকে শুরু লগ্ন থেকে আওয়ামী লীগরে অবিসংবাদিত নেতা, বাঙালীর শ্রেষ্ঠ সন্তান, বাংলাদেশে স্থাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক সনদ ৬ দফা পেশ করনে। পূর্ব-পাকিস্তানের স্বাধীকারসহ সকল স্তরের মানুষের শোষণ ও বঞ্চানার অবসান ছিল, এই ছয় দফার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। ছয় দফার ভিত্তিতে সারাদেশে আন্দোলন শুরু হলে শেখ মুজিবকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে আখ্যায়তি করা হয়। সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ীতেও ছয় দফার ভিত্তিতে তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে। তৎকালীন আওয়ামীলীগ নেতাদের পাশাপাশি ছাত্র নেতাদের মধ্যে ছিলনে আজকের রাজবাড়ী জেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল জাকিম এমপি, চিত্তরঞ্জন গুহ, আমজাদ হোসনে, আবদুল লতিফ বিশ্বাস, নাজিবর রহমান, মকসুদ আহমদে রাজা, ফরিদ আহমদে, কাজী ইকবাল ফারুক, ফকীর আব্দুল জব্বার, আকবর আলী মর্জি, গণেশ নারায়ণ চৌধুরী (সন্ত), আমিনুর রহমান প্রমুখ। ছয় দফার আন্দোলন ও সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা আন্দোলনই ১৯৬৯ এর গণআন্দোলনে রুপ নেয়। এদিকে রাজবাড়ীতেও ১১ দফার ভিত্তিতে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ গড়ে ওঠে। রাজবাড়ী কলেজ ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনয়িন (মেনন) ছাত্র-ইউনয়িন (মতিয়া) সম্মলিতি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলে। নেতৃত্ব দেন তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতা আজকের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপি, তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জবাবার, গণেশ নারায়ণ, মোস্তফা, আবদুল মতিন, কাজী মতিন, রেজাউল হক, শহীদুন্নবী আলম, আব্দুস সাত্তার, আশরাফ আলী (হাসু) প্রমুখ। সে সময় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঐক্যবদ্ধভাবে ১১ দফার ভিত্তিতে রাজবাড়ীতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন (সুত্র মতে)।